1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. আন্তর্জাতিক
  4. খেলাধুলা
  5. বিনোদন
  6. তথ্যপ্রযুক্তি
  7. সারাদেশ
  8. ক্যাম্পাস
  9. গণমাধ্যম
  10. ভিডিও গ্যালারী
  11. ফটোগ্যালারী
  12. আমাদের পরিবার
ঢাকা , সোমবার, ২০ মে ২০২৪ , ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাশুড়ির দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে নিজেই শুয়ে পড়লেন পূত্রবধূক

আপলোড সময় : ১৯-০৭-২০২৩ ০১:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ১৯-০৭-২০২৩ ০১:৫৩:৩৪ পূর্বাহ্ন
শাশুড়ির দাফনের জন্য   খোঁড়া কবরে নিজেই শুয়ে পড়লেন  পূত্রবধূক
নিউজ ডেস্ক : বাবুগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর ইউনিয়নের লোহালিয়া গ্রামে সম্পত্তির ভাগ-বাটোয়ারা অমীমাংসিত রেখে মারা গেছেন শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম। তাই শাশুড়িকে দাফন করতে দেবেন না পুত্রবধূ শাহানাজ বেগম।

 শাশুড়ির দাফনের জন্য খোঁড়া কবরে নিজেই শুয়ে পড়েছেন পুত্রবধু 

পরে পুলিশ এসে পুত্রবধূকে হেফাজতে নিয়ে তার শাশুড়ির দাফন সম্পন্ন করেন। স্থানীয় সৃত্রে জানা যায়, ‌‘জমি ভাগ করে দেওয়ার আগে রহিম বিদেশ থেকে এসে মায়ের জায়গায় ঘর তুলেছেন। এতে বাধা দেন মা ও বোনেরা। বাধা না মানলে মা ছেলের বিরুদ্ধে মামলা করলে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। ওই জমি নিয়ে এখনও মামলা চলছে। এরই মধ্যে সোমবার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে আনোয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। এ সময় মেয়েদের কাছে অসিয়ত করেন তাকে ছেলের বাড়ির সামনের জমিতে দাফন করার জন্য।’ মঙ্গলবার সকালে জানাজা শেষে অসিয়ত অনুযায়ী ওই জমিতে কবর খোঁড়া হয়।

সময় পুত্রবধূ শাহনাজ বেগম কোনোভাবেই ওই জমিতে শাশুড়ির লাশ দাফন করতে দিচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে খোঁড়া কবরে ঢুকে পড়েন। এতে ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসী। তারাও শাহনাজকে বারবার কবর থেকে উঠে আসতে বলেন। কিন্তু কারও কথা শুনছিলেন না। একপর্যায়ে তাকে মাটিচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে গ্রামবাসী। এরই মধ্যে সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার বিস্তারিত শুনে তাকে কবর থেকে তুলে আনে পুলিশ। সেইসঙ্গে ওই কবরে শাশুড়ির লাশ দাফন করা হয়।
‘পুলিশ আসার পর শাহনাজ দাবি করেন ওই জমি তার স্বামীর। তবে এর পক্ষে দলিল দেখাতে ব্যর্থ হন। অপর পক্ষে আনোয়ারার মেয়েরা তাদের পক্ষে সব দলিল দেখান পুলিশকে। এতে পুলিশ নিশ্চিত হন শাহনাজের স্বামী রহিম ওই জমি দখলের উদ্দেশ্যে সেখানে বাড়ি তুলেছেন। মায়ের মামলার কারণে মাঝপথে বাড়ির তোলার কাজ বন্ধ করে দেন।’


আনোয়ারা বেগম (৮০) ওই এলাকার মৃত মোবারক আলী খানের স্ত্রী। মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। তাদের সংসারে পাঁচ মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে। ছেলে আব্দুর রহিম ২৫ বছর ধরে সৌদিপ্রবাসী। রহিমের স্ত্রী শাহনাজ বেগম ওই গ্রামেই থাকেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Daily Sonali Rajshahi

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ